কে এই বাবা ভাঙ্গা?
বুলগেরিয়ায় জন্ম নেয়া বাবা ভাঙ্গা তাঁর জীবনে যত ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তার ৮৫ শতাংশই মিলে গেছে৷ ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান৷ কথিত আছে, রহস্যময় এক ঝড় তরুণী বাবা ভাঙ্গাকে উড়িয়ে নিয়ে এক মাঠে ফেলে দেয়৷ বেশ কদিন পর পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে পায়৷ কিন্তু বালু আর ময়লার কারণে ব্যথায় তিনি চোখ খুলতে পারছিলেন না৷ পরে অন্ধ হয়ে যান তিনি৷ Continue reading “বাবা ভাঙ্গার যত ভবিষ্যদ্বাণী” »
Category Archives: বাংলা
ওমরাহর নিয়ম
১. ওমরাহর ইহরাম (ফরজ)
· পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে গোসল বা অজু করে নিতে হবে
· মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরিধান করুন, অন্যটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিন
· শুধু ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া পড়ে নিন Continue reading “ওমরাহর নিয়ম” »
Just Love the truth!
ভাইয়া, ওর সাথে আমার পছন্দ–অপছন্দ, ভালো লাগা–না লাগার না অনেক পার্থক্য। কোনো কিছুতেই মেলে না। তাই ব্রেকআপ হয়ে গেল…।…
Posted by Rajib Hasan on Sunday, January 10, 2016
যুদ্ধ নয়, ‘শেষ’ হচ্ছে ইরাক!
'যুদ্ধ' শব্দটা মনে হয় ইরাকের জন্যই প্রযোজ্য! ২০০৩ সালে ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন হামলার পর সামরিক-বেসামরিক মিলে জীবন গেছে প্রায় ৫ লাখ লোকের। আহত হয়েছে আরো অনেক যার সঠিক হিসাব নেই। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মার্কিন সৈন্য প্রাণ দিয়েছে এই যুদ্ধে। নিহতের তালিকায় আছে ব্রিটিশসহ আরো অনেক সৈন্য। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। উদ্দেশ্য ছিল ২০০৩ সালে ক্ষমতায় থাকা সাদ্দাম হোসেনকে উত্খাত করে নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক ইরাক ফিরিয়ে আনা। কিন্তু সেই আশা যেন সুদূরপরাহত। ২০১১ সালে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু সেই ইরাকে আবার মার্কিন সৈন্য। লড়াই চলছে সুন্নি-শিয়া-মার্কিন সৈন্যদের মধ্যে। বিদ্রোহীদের দমনে ইরাকে গেছে রুশ বিমানও। আবার সেই যুদ্ধ। বিশ্লেষকদের মতে, ইরাক যুদ্ধ হয়তো শেষ হবে না। কিন্তু ঠিকই শেষ হচ্ছে ইরাক।
আদিকালের শত্রুতা: গত শতাব্দী ধরে পশ্চিমারা সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছে। এজন্য তারা শাসককে বুঝতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিমারা কী তাদের সংস্কৃতিকে বুঝতে চেষ্টা করেছে যেখানে ধর্মই সরকার, ধর্মগ্রন্থই আইন এবং অতীতই ভবিষ্যতের নির্ণায়ক। সুন্নি-শিয়া বিরোধ সৃষ্টি হয় ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর। সুন্নিরা খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চান হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদলে। আর শিয়ারা চান হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উত্তরাধিকারী এবং জামাতা ও খলিফা হযরত আলী (রা.) এর নীতিতে। শতাব্দী ধরে এই দুই সমপ্রদায় সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিক ভিন্ন পরিচয়ে চলছে। বিশ্বে এখন ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মুসলমানদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান সুন্নিপন্থি। ৫শ' বছর ধরে অটোমন সাম্রাজ্যের পতনের পর ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে পশ্চিমাপন্থি শাসক মোহাম্মদ রেজা শাহকে হটানোর পর ইরানে শিয়ারা ক্ষমতায় আসে। তারা মনোযোগ দেয় তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলের দিকে। Continue reading “যুদ্ধ নয়, ‘শেষ’ হচ্ছে ইরাক!” »
২৫ এর পর যা সত্যি
বয়স কি পঁচিশ পেরিয়েছে? যদি আপনার বয়স পচিশ পার হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে ইতিমধ্যেই আপনি জেনে গিয়েছেন অনেকগুলো সত্য। যেই বিষয়গুলো আগে অর্থহীন মনে হতো অথবা তেমন একটা গুরুত্ব দিতেন না সেগুলোই হয়তো এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে। আবার যেগুলোকে জীবনের সবচাইতে জরুরি মনে হত এমন অনেক কিছুই হয়তো আর কোনো মূল্যই রাখে না এখন জীবনে। বয়স পঁচিশ পার হলে জীবনের কিছু সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন আপনি। জানতে চান কী সেগুলো? মিলিয়ে দেখুন তো এই ২১টি সত্য আপনার ক্ষেত্রেও মিলে যায় কিনা! Continue reading “২৫ এর পর যা সত্যি” »
আব্বা- আনিসুল হক
আমার সোনার বাঙলা… আমি তোমায় ভালবাসি….
আমাদের ডাঃ আতিউর রহমান
আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।
আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একট
আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।
আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না !
এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।
নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।
পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় ! স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবো না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। Continue reading “আমাদের ডাঃ আতিউর রহমান” »
‘অপন্যাসিক’ নন, প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টা
নন্দিত নরকে নয় নন্দিত স্বর্গে তাঁর স্থান হোক। এটাই এখন কাম্য। কেননা, তাঁর রঙিন করা কাহিনী নিয়ে আর নির্মিত হবে না নাটক-টেলিফিল্ম-সিনেমা। নন্দিত নরক থেকে আর আলোচনার রঙধনু উঠবে না। আর কোনদিনও তাকে কেউ ঘিরে ধরবেনা অটোগ্রাফ বা ফটোগ্রাফের জন্য।
প্রায় চার দশক ধরে বাংলাদেশে কাটতির শীর্ষে থাকা ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ আর নেই। ক্যান্সার নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এম এ মোমেন বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
কিংবদন্তীর এই জনপ্রিয় কথাশিল্পীর জন্ম ১৯৪৮ এর ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোনায়। বেস্টসেলার উপন্যাসের অব্যর্থ কারিগর হুমায়ূনের দ্বিতীয় সাফল্যের ক্ষেত্র ছোটগল্প, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে বিস্তৃত। একনিষ্ঠ ও বিশাল পাঠকশ্রেণী তৈরির মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের প্রবৃদ্ধিতে।
রসায়নশাস্ত্রের একসময়কার অধ্যাপক নিজস্ব কথনরীতি এবং নাগরিক মধ্যবিত্ত জীবনের নিবিড় বর্ণনার জন্য সমালোচকদের চোখেও বিশিষ্ট।
সুনিপূণ শিল্পী দক্ষ রূপকার প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টা
তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’র ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন সাহিত্য ও ইতিহাসবিদ আহমেদ শরীফ। তিনি লেখেন, “বাঙলা সাহিত্যক্ষেত্রে এক সুনিপূণ শিল্পীর, এক দক্ষ রূপকারের, এক প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টার জন্মলগ্ন যেন অনুভব করলাম।”
মাত্র চারটি উপন্যাস লিখেই ১৯৮১ সালে পান বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার। কোনো কোনো সমালোচক তার উপন্যাসকে ‘উপন্যাসোপম বড় গল্প’ [বিশ্বজিৎ ঘোষ], এমনকি ‘অপন্যাস’ [হুমায়ূন আজাদ] বলে অভিহিত করলেও, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাহিত্যের কোনো আলোচনাই তাকে বাদ রেখে সম্ভব হয়নি। সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের দীর্ঘ সামরিক শাসনের সময় হুমায়ূন ‘সামাজিক দ্বন্দ্বে’ অংশ নেননি বলে এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন লেখক আহমদ ছফা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যবিত্তের জীবনের নিস্পন্দ রোমান্টিকতাকে নিখুঁতভাবে তুলে এনেছেন তাঁর প্রধানত সংলাপনির্ভর উপন্যাসমালায়। Continue reading “‘অপন্যাসিক’ নন, প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টা” »
পদ্মা সেতু বিতর্ক কি পূর্বপরিকল্পিত?
শুরুতে বলে নিই, আমার এই লেখা বিশ্বব্যাংক-পদ্মা সেতু বিতর্কে সরকারের পক্ষে কোনো সাফাই গাওয়ার জন্য নয়। আর সরকারের পক্ষে সাফাই গাইলেও তা কেউ শুনবে না। কারণ, বিশ্বব্যাংকের ঢোলের আওয়াজ অনেক বড় এবং সে ঢোলে যখন বিশ্বব্যাংক বাড়ি দেয়, তখন তা এ দেশের মানুষ অনেক বেশি শোনে। এ দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না বিশ্বব্যাংক আসলে কাদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং কোন কোন দেশ তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।
বাংলাদেশের বহুপ্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণের পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির চেষ্টা হয়েছে—এ অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করবে না বলে সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারা এ দুঃসংবাদটি দিয়েছে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ব্যাপারে চুক্তি হওয়ার ১৪ মাস পর। ফলে সরকারের তো বটেই, দেশের ভাবমূর্তিরও বড় ক্ষতি হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের যে অর্থ থেকে আপাতত বাংলাদেশ বঞ্চিত হলো, তা সহজ শর্তে ঋণ ছিল। একসময় দেশের জনগণকেই এই অর্থ সুদে-আসলে পরিশোধ করতে হতো। পুরো বিষয় নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে বেশ হইচই হচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেতা এই ‘অপরাধ’-এর কারণে সরকারেরই পদত্যাগ দাবি করেছেন। এটিও একটি নজিরবিহীন ঘটনা। পাশের দেশ ভারতে এমন একটি ঘটনা ঘটলে বিরোধী দল আর সরকারি দল একসঙ্গে বসে একটি কর্মপন্থা ঠিক করার চেষ্টা করত। ঠিক একই অজুহাতে বেগম জিয়ার আগের সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংক একাধিক প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছিল; কিন্তু তা নিয়ে তেমন হইচই হয়নি। কারণ, সেসব প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দেয় অর্থের পরিমাণ অনেক কম ছিল। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, বেগম জিয়া ও তাঁদের সভা পারিষদেরা কয়েক দিন ধরে বলে আসছেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে একটি নয় দুটি পদ্মা সেতু বানাবেন। রাজনীতিতে বাগাড়ম্বর বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়, তবে তারও একটা সীমা থাকা উচিত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া, বিচারপতি সাত্তার এবং বেগম জিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ১৭ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তাঁরা কেন পদ্মার ওপর সেতু বানানোর চিন্তা করেননি, তা জনগণ জানে না। আর পদ্মার ওপর দুটি সেতুর আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, তা অর্থনৈতিক ও কারিগরি সমীক্ষার ব্যাপার। যাক সেসব কথা।