টেলিফোন সংলাপ আড়িপাতার বিধান কার্যকর হচ্ছে

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার টেলিফোনে আড়িপাতার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করেছে। ইতিপূর্বে গঠিত ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার (এনএমসি) এর স্থলে নতুন এ সংস্থা কার্যকর হবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিধান, যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারকার্য নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা, মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি রোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এই সংস্থা যেকোন নাগরিকের টেলিফোন সংলাপে আড়িপাততে পারবে। তবে কখন, কোথায় কি পরিস্থিতিতে আড়িপাতা হবে তা নির্ধারণ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১-এর ৯৭ (ক) ধারার ক্ষমতা বলে সরকার রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে যেকোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের টেলিফোনে আড়িপাতার এখতিয়ার রাখে। বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনএমসি নামে একটি মনিটরিং সেন্টার গঠন করে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের জন্য এ সংস্থাটি গঠন করা হয়। পরে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে এনএমসি নাম পরিবর্তন করে এনটিএমসি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এ সংস্থায় শিগগিরই প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। তবে সংস্থাটিতে স্থায়ী ও প্রেষণে নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। এনএমসি'র প্রধানের পদবী ছিল মহাপরিচালক। যা সংশোধন করে এনটিএমসি প্রধানের পদটি পরিচালক করা হয়েছে। অতিরিক্ত পরিচালকের নতুন দুইটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। নবগঠিত এ সংস্থায় স্থায়ীভাবে ৩৭ জন, প্রেষণে ৪৪ জন এবং আউটসোর্সিং থেকে ১৬ জন কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

সূত্রটি আরো জানায়, এই সংস্থা কখন কার কথোপকথনে কত সময়ের জন্য আড়িপাতবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংস্থার কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

http://ittefaq.com.bd/content/2011/02/07/news0388.htm

Share

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.