অবৈধ ভিওআইপি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়নি Rumi, February 25, 2012 তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ না থানায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণের একটি তদন্ত কমিটি। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটি অবৈধ কল টার্মিনেশন নিয়ন্ত্রণে ত্রিপক্ষীয় টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে। কমিটি বলছে_ বিটিআরসি, মন্ত্রণালয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে এ টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে নজরদারি না করায় দেশে ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। অবৈধ কল টার্মিনেশন বা ভিওআইপি নিয়ে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সমকালে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকার এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি করে। বিটিআরসি এবং মন্ত্রণালয়ের ছয় প্রতিনিধিকে দিয়ে গঠিত কমিটি গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আড়াই মাসে কমিটি মূলত দুই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিটিসিএল এবং টেলিটককে নিয়েই বেশি কাজ করে। কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, কাজ করতে গিয়ে প্রযুক্তিকেই তাদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা মনে হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের কমিটিতে কো-অপট করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েও পাওয়া যায়নি। গত ৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে কমিটি ৫ জন প্রতিনিধি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখে। এ অবস্থায় বেশিদূর এগোনো যায়নি। প্রতিবেদনেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটির এক সদস্য সমকালকে বলেন, তাড়াতাড়ি প্রতিবেদন দিতেও চাপ ছিল। ফলে কোনো উপসংহারেও আসা যায়নি। সমকালের হাতে থাকা প্রতিবেদনে সব মিলে ১৩টি সুপারিশ পাওয়া গেছে। সুপারিশে টাস্কফোর্স গঠন ছাড়াও বিটিআরসি প্রদত্ত নির্দেশনাগুলো সব অপারেটরের জন্য মান্য করা বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিবেদনের সীমাবদ্ধতা অংশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিটিসিএল এবং টেলিটকের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি তারা। তাছাড়া টেলিটক এবং বিটিসিএলের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে লিখিতভাবে জানতে চাইলেও তারা তা জানায়নি। প্রতিবেদন অনুসারে রাষ্ট্রায়ত্ত ল্যান্ডফোন কোম্পানি বিটিসিএলে কল ডিটেইল রেকর্ডস (সিডিআর) মুছে ফেলার প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া পাঁচটি চ্যানেলের সিডিআর চালু অবস্থায় পেলেও সেখানে কোনো তথ্যই পায়নি তদন্ত কমিটি। এসব রুট বন্ধ করতে বলা হয়েছে। অনলাইন সিডিআর না থাকাকেও সমস্যা বলে মনে করেছে কমিটি। তারা বলেন, অনলাইন বিলিং না হওয়ায় সঠিকভাবে রাজস্বও পাচ্ছে না সরকার। একই সঙ্গে বিটিসিএলে এমন সংযোগের সন্ধানও মিলেছে যেখানে হাজার হাজার মিনিট কথা বললেও বিল হয় না। কমিটি মনে করছে, ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসায় এ টেলিফোনই ব্যবহার হচ্ছে। কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, টেলিটকের সিম ব্যবহার করে যেভাবে কল টার্মিনেশন হচ্ছে তা যাচাই করতে কানাডা থেকে কয়েকটি পরীক্ষামূলক ফোন কলও করিয়েছেন তারা। পরে দেখেছেন, এ কলের সবই টেলিটকের সিম থেকেই পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান সমকালকে বলেন, অনেকদিন থেকেই টেলিটকের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি টাস্কফোর্স গঠনের পক্ষে মত দেন। কমিটি টেলিটক এবং বিটিসিএলকে যে কোনোভাবে হোক টানেলগুলোকে বিটিআরসির সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা বলেছে। বর্তমানে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কল টানেলিং সিস্টেম রয়েছে বিটিআরসিতে। ফলে তাদের কল টার্মিনেশনের বিষয়টি বিটিআরসির নজরদারিতেই থাকছে। দেশের অবৈধ কল টার্মিনেশন সম্পর্কে ইউরোপের জরিপ পরিচালনাকারী কোম্পানি মিউচি সলিউশনের তথ্য সম্পর্কেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি। Src: http://www.samakal.com.bd/details.php?news=14&view=archiev&y=2012&m=02&d=23&action=main&menu_type=&option=single&news_id=237991&pub_no=971&type= Collected Articles বাংলা