Skip to content
Bots!
Bots!
  • About
    • Myself
    • আমার দোয়া
  • Bookmarks
    • Bookmarks
    • My OCI Bookmarks
    • Useful Proxmox Commands & Links
    • Learning Nano
    • Useful Sites
    • Useful Virtualbox Command
    • Useful MySQL Command
    • Useful Linux Command
    • BTT-CAS
  • Resources
    • Webinar on Cloud Adoption for Project Managers
  • Photos
  • Videos
  • Downloads
Bots!

২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য অংশ (সংগ্রহীত)

Rumi, April 8, 2012April 8, 2012

ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই | নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান | আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না | পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি — আমরাও না . ২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি | অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা | কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায় | 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল | মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার ১, ২, ৩ এভাবে গুনে গিয়েছে | তারা ২০১২ এ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে | অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা | ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ | তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল | তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত | ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার | তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না | ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত | স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে | অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন এ বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন | যাই হোক এ নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে. এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে | ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় | লিংক : http://3.bp.blogspot.com/-xXP7Jh9SWhs/TsvmP3a3CkI/AAAAAAAAACU/abJw_t6xuFM/s1600/Clues+Get+warm+in+the+search+of+planet+x+%2528real+photo+1+from+NY+times+30-01-1983%2529.gif সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ | জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর ৫ গুণ বেশি | এ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ |” এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন | (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা | অনেকে বলেছেন ধুমকেতু | অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ | তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী | এর অরবিটও অন্য ধরনের | এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর এ | যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই | আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না | এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে | এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন) | নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে | ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি | আর ঐ দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে ৯.২ রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, ঐ দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল | এ থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে | এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে | আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর | এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব | প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ও ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ | এখন গুগল স্কাই এ নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা| যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা | কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে | এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি | আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে | নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা | (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট | এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই | এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে | এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট | বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত | রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য | সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ | ওরাই বলেছে “আমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ এ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” | এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে. এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব | ১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে | সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি | তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে | যেমন : ১,২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩… লক্ষ্য করুন এই ডিফারেন্স কিন্তু অনিয়মিত | আবার এক বিশেষ ধরনের প্রাইম নাম্বার আছে যাকে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার বলা হয় | অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার সেই সকল বিশেষ প্রাইম নাম্বার যেগুলোর সংখ্যামানের যোগফলও প্রাইম নাম্বার হয় | একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (১+১=২ | ২ একটি প্রাইম নাম্বার) | আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন | পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় | |||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| ৭+২+৯+১+৩+৯=31 ||| পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে | এখন আমি ২০১২ তে আসি : পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান এ ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতে “ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান” বলা হয়েছে | যার অর্থ “তোমরা (জ্বীন ও মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে” ১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭ এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 | ১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩ এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (১+৪+৩+৩=১১) | সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার | আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন এ | আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায় | ১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত | সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।“ আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:৮৬) “এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না”। আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:২৪) “আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” | এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায় | আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ০˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে | ১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ ও জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে | তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত | তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে | হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি : এ বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে | হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে | সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব | “পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” | ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে | ঘনঘন ভূমিকম্প হবে | মহানবী (সঃ) আরো বলেন, “তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ এ পর্যন্ত দেখে নি” | তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন “যদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি এ ঘটবে?” মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে |” এই ভূমিধ্বস ঐ স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে | http://www.islamicfinder.org/dateConversion.php এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল ৩ আগস্ট ২০১২ শুক্রবার | আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত | ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে | রমজান মাসে ২ টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে |ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে | সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ১.৫ কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত | জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য ও অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে | সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত | হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের ১ দিন তোমার ১ হাজার বছরের সমান |” ১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর ১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর ১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন ৭ বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে. অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-৭=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ এ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না ” ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে এ সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না. পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব | ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয় | শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলো – ইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত এ যা ইসরাইল এ অবস্থিত | আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? এ থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন) | এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না | আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই ১. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন | নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ | ২. আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী | কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই | কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার) আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে- তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না। তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী। তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি। ৩. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) . ৪. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান | ” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন | ৫. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” | এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে | আর আমরা হলাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ??? কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে ।উচু ইমারত নির্মান করা হবে । মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে । সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে । জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে । বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে । সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে । তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই । আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি । ৬. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে.

Uncategorized Thoughts বাংলা

Post navigation

Previous post
Next post

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Myself…

Hi, I am Hasan T. Emdad Rumi, an IT Project Manager & Consultant, Virtualization & Cloud Savvyfrom Dhaka, Bangladesh. I have prior experience in managing numerous local and international projects in the area of Telco VAS & NMC, National Data Center & PKI Naitonal Root and CA Infrastructure. Also engaged with several Offshore Software Development Team.

Worked with Orascom Telecom-Banglalink, Network Elites as VAS partner, BTRC, BTT (Turkey) , Mango Teleservices Limited and Access to Informaiton (A2I-UNDP)

Currently working at Oracle Corporation as Principal Technology Solution and Cloud Architect.

You can reach me [h.t.emdad at gmail.com] and I will be delighted to exchange my views.

Tags

Apache Bind Cacti CentOS CentOS 6 CentOS 7 Debain Debian Debian 10 Debian 11 Debian 12 DKIM Docker endian icinga iptables Jitsi LAMP Letsencrypt Linux Munin MySQL Nagios Nextcloud NFS nginx pfsense php Postfix powerdns Proxmox RDP squid SSH SSL Ubuntu Ubuntu 16 Ubuntu 18 Ubuntu 20 Varnish virtualbox vpn Webmin XCP-NG zimbra

Topics

Recent Posts

  • Install Jitsi on Ubuntu 22.04 / 22.10 April 30, 2025
  • Key Lessons in life April 26, 2025
  • Create Proxmox Backup Server (PBS) on Debian 12 April 19, 2025
  • Add Physical Drive in Proxmox VM Guest April 19, 2025
  • Mount a drive permanently with fstab in Linux April 16, 2025
  • Proxmox 1:1 NAT routing March 30, 2025
  • Installation steps of WSL – Windows Subsystem for Linux March 8, 2025
  • Enabling Nested Virtualization In Proxmox March 8, 2025
  • How to Modify/Change console/SSH login banner for Proxmox Virtual Environment (Proxmox VE / PVE) March 3, 2025
  • Install Proxmox Backup Server on Debian 12 February 12, 2025

Archives

Top Posts & Pages

  • Install Jitsi on Ubuntu 22.04 / 22.10
©2025 Bots! | WordPress Theme by SuperbThemes